জগন্নাথপুরে রানীগঞ্জ সেতুর নির্মান কাজ চলছে

জগন্নাথপুরে রানীগঞ্জ সেতুর নির্মান কাজ চলছে

Brand Bazaarমোঃ হুমায়ূন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:-
সিলেট বিভাগের বৃহৎ জগন্নাথপুর-পাগলা-রানীগঞ্জ-আউশকান্দি আঞ্চলিক মহা-সড়কের জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নে কুশিয়ারা নদীর উপর ৭০২.৩২ মিটার দীর্ঘ রানীগঞ্জ সেতুর নির্মাণ কাজ পুরোদমে চলছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৩৩/৩৪ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ । ১শ কোটি ২৬লাখ ৮৬ হাজার টাকা ব্যয়ে রানীগঞ্জ সেতুটি পিসি গার্ডার এবং বক্স গার্ডারের সমন্বয়ে নির্মান করা হচ্ছে। সেতুটির প্রস্থ ১০.২৫ মিটার। ১৫ টি স্প্যানের এই সেতুটিতে ১৪টি পিয়ার থাকবে। অ্যাপ্রোচ সড়কের দৈর্ঘ্য হবে আড়াই কিলোমিটার। সেতুটির কাজ শুরু হয়েছে ২০১৬সালের ডিসেম্বর মাসে।
জগন্নাথপুরে রানীগঞ্জ সেতুর নির্মান কাজ চলছেচলতি বছরের ১৪ জানুয়ারী সেতুটির ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেন সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ইতিমধ্যে কাজ শুরু হওয়ার এক বছরে প্রায় ৩৩/৩৪ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে। ২০১৮ সালের মধ্যেই রানীগঞ্জ সেতুটির পুর্নাঁঙ্গ কাজ সম্পন্ন করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্টান কর্তৃপক্ষ আশাবাদ প্রকাশ করেছেন। রানীগঞ্জ সেতু’র কাজ শেষ হলে জগন্নাথপুরসহ সুনামগঞ্জ জেলাবাসীর সাথে রাজধানী ঢাকার দূরত্ব কমবে ৫২কিলোমিটার। সুনামগঞ্জের যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্নয়নের মাইল ফলক সৃষ্টি হবে বলে বিভিন্ন মহল অভিমত প্রকাশ করেছেন। বিশাল এই সেতুটি নির্মানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও সেতু নির্মানের স্বপ্ন দ্রষ্টা সুনামগঞ্জ-৩ (জগন্নাথপুর-দক্ষিন সুনামগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নানের প্রতি অভিনন্দন ও কৃজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন জেলার সর্বস্তরের জন সাধারণ। সম্প্রতি সেতুটির নির্মান কাজ পরিদর্শনকালে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান উপস্থিত জনসাধারনের উদ্দেশ্যে বলেন রানীগঞ্জ সেতুটি নির্মান সম্পন্ন হলে আমার সবচেয়ে বড় স্বপ্ন পূরন হবে। তিনি সেতুটি নির্মানে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃজ্ঞতা প্রকাশ করে কেন্দ্রিয় আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে অভিনন্দন জানান। এছাড়াও সেতু নির্মানে প্রস্তুতি গ্রহনে প্রশাসনিক কার্যক্রমে সহযোগিতা করার জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব বেলায়েত হোসেনের প্রতিও অভিনন্দন জানান। সেতুটির নির্মান কাজ দ্রুত গতিতে চলছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী সেতু নির্মান কাজের সাথে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্টানের প্রতি অভিনন্দন জানিয়ে নির্মান কাজ দ্রুত সম্পন্ন করনে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান। প্রতিমন্ত্রী সুনামগঞ্জ জেলাসহ সারা দেশে কোথায় কোন বাঁশের সাঁকো থাকবে না উল্লেখ করে বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশের অগ্রগতিতে আগামী জাতীয় নির্বাচনে আবারো শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় নিয়ে আসতে নৌকা প্রতিকে ভোট প্রদানে জনগনের প্রতি আহবান জানান। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রবীন নেতা সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি সিদ্দিক আহমদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আকমল হোসেন, সাধারন সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশীধ চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগ অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এদিকে জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের রানীগঞ্জ বাজার ও পাইলগাঁও ইউনিয়নের মধ্যবর্তী স্থানে কুশিয়ারা নদীর উপর দীর্ঘ এ সেতুটির নির্মান কাজ দেখতে প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থীরা নদীর দু-পাড়ে উপস্থিত হন। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান (সিআর ২৪ বি এসএম বিল্ডার্স জয়েন্ট বেঞ্চার) কর্তৃক রানীগঞ্জ সেতুর নির্মান কাজের দায়িত্বরত ডেপুটি প্রজেক্ট ম্যানেজার মো: হারুন অর রশীদ জানান, বিপুল সংখ্যক শ্রমিকদের দিয়ে এবং সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের প্রকৌশলী ও কার্যসহকারীদের উপস্থিতিতে প্রাক্কলন অনুযায়ী কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। ইতোমধ্যে ৩৩ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ১৫ টি স্প্যানের এই সেতুটিতে ১৪টি পিয়ারের মধ্যে ৪টি পিয়ার পয়েন্ট কাজ বাকি রয়েছে। সেতুটির নদী অংশে ডিজাইনের কাজ বুয়েট কর্তৃপক্ষের যাছাই বাছাই কাজ চলমান রয়েছে। শীঘ্রই সিদ্ধান্ত পেয়ে কাজ শুরু করা হবে। ৪টি স্প্যানে গার্ডার কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়াও সেতুটির দু-পাড়ে অ্যাপ্রোচের ভুমি অধিগ্রহনের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। তিনি আরো জানান সেতুটির নির্মান কাজ দেখতে আসা দর্শনার্থীরা জগন্নাথপুরবাসীর স্বপ্ন পুরনে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নানের প্রতি অভিনন্দন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment